,

শীত আসছে…

জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিকৃতিতে বইছে শীতের আগমনী বার্তা। শীতের মৌসুমের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস আহরণে গ্রামের গাছিরা গাছ প্রস্তুত করতে কাজ শুরু করেছেন।

খেজুরের রস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গাছ কাটায় পারদর্শী স্থানীয় গাছিরা হাতে দা নিয়ে ও কোমরে দড়ি বেঁধে নিপুণ হাতে গাছ প্রস্তুতের শুরু করেছেন। কিছু দিনের মধ্যে খেজুর গাছ কাটার ধুম পড়ে যাবে।

শীত মৌসুমের শুরুতেই রস আহরণ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এ অঞ্চলের গাছিরা।শীত মৌসুমে গ্রমাঞ্চলে খেজুর রসের ক্ষির, পায়েস ও পিঠে খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। শীতের সকালে বাড়ির উঠানে রস জ্বালিয়ে তৈরি হয় গুড় ও সুস্বাদু পাটালি।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২৫ হেক্টর জমিতে রয়েছে খেঁজুর বাগান। এ থেকে ১৩৫ টন গুড় উৎপাদন হবে।

দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের গাছি মহন আলি ও দেউলি গ্রামের শফি উদ্দীন বলেন, আর কয়েক দিন পরই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হবে। এ থেকে গুড় তৈরি চলবে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত। হেমন্তের প্রথম থেকে বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করবে সুস্বাদু খেজুরের পাটালি ও গুড়। অবহেলায় বেড়ে ওঠা খেজুরের গাছের কদর এখন অনেক বেশি। খেঁজুরের এই গুড়ের মৌসুমে উপজেলার জয়রামপুর স্টেশন সংলগ্ন গুড়ের হাট ব্যাপক জাকজমক হয়ে ওঠে। আমাদের এলাকার এই গুড়গুলো এই হাটে বিক্রি হয়। সপ্তাহে দুইদিন শনিবার ও মঙ্গলবার এই হাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে কিনে নিয়ে যায়।

তারা আরো বলেন, ১ কেজি গুড় তৈরি করতে শ্রম ও জ্বালানিসহ গাছিদের খরচ হয় ৭০-৮০ টাকা। আর প্রতি কেজি গুড় বর্তমান বাজারে বিক্রি হয় ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এ কারণে গাছিরা গুড় বানাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, ইটভাটায় জ্বালানির কাজে, বিভিন্ন উঁচু জায়গা থেকে গাছ নিধন করে ফলের বাগান গড়ে ওঠায় খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর